ফরিদপুর রেলস্টেশনে স্টেশনমাস্টারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে রেলওয়ে পুলিশের (জিআরপি) কাছে চিঠি দিয়েছেন তিনি।
বুধবার রাজবাড়ী জিআরপির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ আলম বরাবর চিঠি দিয়েছেন ফরিদপুর রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার মো. তাকদির হোসেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে স্টেশনে নিজ কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় তাকদিরের ওপর হামলা করেন সৈয়দ কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ আবদুল হাকিম শান্ত, সৈয়দ রফিকুদ্দিন আহমেদ, প্লাবনসহ ১৩-১৪ জন। এ সময় তার শরীরে অস্ত্র ঠেকিয়ে স্টেশনের পণ্য আনলোড ও লেবার হ্যান্ডলিং পয়েন্টের টেন্ডার নিয়োগের চিঠিতে স্বাক্ষর করতে হুমকি দেন।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এ সময় স্টেশনের কয়েকজন কর্মকর্তাকে মারধর করেন তারা। পরে কৌশলে স্টেশনমাস্টার তার কক্ষে গিয়ে পুলিশকে জানান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান হামলাকারীরা।
এদিকে হামলার ঘটনায় ভারত থেকে আসা মালবাহী চারটি ট্রেনের পণ্য আনলোড বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
ফরিদপুরের স্টেশনমাস্টার তাকদির হোসেন বলেন, ‘ট্রেনে করে এই স্টেশনে দেশ-বিদেশ থেকে পণ্য আসে। ওই মালামাল খালাসের বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষের নিয়ম ভঙ্গ করায় সৈয়দ কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের কার্যাদেশ বাতিল করা হয়। এতে প্রতিষ্ঠানটির লোকজন ক্ষুব্ধ হয়।
‘মঙ্গলবার রাতে কয়েকজন ব্যক্তি স্টেশনে আমার ওপর হামলা চালায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানালে তারা এসে আমাকে রক্ষা করে। হামলাকারীরা সৈয়দ কনস্ট্রাকশনের লোক।’
তিনি জানান, বিষয়টি বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হলে তারা ভারত থেকে আসা চারটি ট্রেনের মালামাল আনলোড করার কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। বিষয়টির নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পণ্য আনলোড বন্ধ থাকবে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) জামাল পাশা বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্টেশনমাস্টার বা কর্তৃপক্ষ এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি, মামলাও হয়নি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হবে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ বিষয়ে সৈয়দ কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের এমডি সৈয়দ আবদুল হাকিম শান্তকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।